গম চাষ

20 Views

  • Uploaded on Sept. 28, 2023, 9:31 p.m. by Rakib

  • ভাতের পরই বাংলাদেশে যে খাদ্যটির চাহিদা বেশি সেটি হলো আটা ও ময়দা। আর আটা-ময়দা আসে গম থেকে। দেশের মানুষের বিশেষ করে শহরাঞ্চলে সকালের নাস্তার একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকে গমের আটা বা ময়দার রুটি-পরোটা। যদিও বাংলাদেশে গমের চাষ যতটা প্রসার লাভ করার কথা ছিল ততটা হয়নি, তবুও যে পরিমাণ জমিতে গমের চাষ হয় সেই জমিতে আধুনিক পদ্ধতি মেনে চাষ করলে গমের ফলন বেশি পাওয়া যেতে পারে।

    চাষের মৌসুম ও জাত : গম বীজ বোনার উপযুক্ত সময় হলো কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণের তৃতীয় সপ্তাহ বা নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এ সময় বোনা যায় এমন জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কাঞ্চন, আকবর, অগ্রণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব, সোনালিকা। কিন্তু কিছু কিছু জাত আছে যেগুলো কিছুটা তাপ সহনশীল, সেগুলো ডিসেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত বোনা যেতে পারে। এই জাতগুলো হলো- সুফী, বিজয় ও প্রদীপ। যে সব এলাকায় ধান কাটতে ও জমি তৈরি করতে বিলম্ব হয় যেসব এলাকায় বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়৷

    উপযুক্ত জলবায়ু : গ্রীষ্ম ও অবগ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু হতে শুরু করে নাতিশীতোষ্ঞ ও তুন্দ্রাঞ্চলীয় জলবায়ুতেও গম জন্মে৷ বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৫-৪৫ ইঞ্চি অর্থাত্ ৩৮০-১১৪৩ মিলিমিটার গম চাষের জন্য খুব উপযোগী, তবে ১০-৭০ ইঞ্চি অর্থাত্ ২৫৪-১৭৭৮ মিলিমিটার পর্যন্ত বার্ষিক গড়পড়তা বৃষ্টিতেও গম ভালো জণ্মে৷ একদিকে সাইবেরিয়া ও মেরু অঞ্চলের প্রবল শৈত্যেও গম গাছ টিকে থাকতে পারে, অন্যদিকে ২১-২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়ও গম চাষ করা যায়৷ তবে গরম আবহাওয়ায় ফুল ফুটার সময় ঠান্ডা পরিবেশ বর্তমান থাকা প্রয়োজনীয়, অন্যথায় গম গাছে দানার উত্পত্তি হয় না৷ ভূমির উচ্চতার দিক হতেও গম অদ্ভুত রকমে খাপ খাওয়াতে পারে৷ সমুদ্র সমতল হতে ১০,০০০ ফুট অর্থাত্ ৩১০০ মিটার উচ্চতায়ও গম জন্মাতে দেখা যায়৷

    মাটির ধরন : উঁচু ও মাঝারি দো-আঁশ মাটি গম চাষের জন্য বেশি উপযোগী৷ লোনা মাটিতে গমের ফলন কম হয়৷ সাধারণত উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি গম চাষের জন্য উপযুক্ত৷ তবে মাঝারি নিচু জমিতেও গম চাষ চলে৷ দোঁআশ ও বেলে-দোঁআশ মাটি গম চাষের জন্য সর্বোত্তম৷ সহজে পানি নিষ্কাশিত হয় এমন ভারী অর্থাত্ এঁটেল ও এঁটেল-দোঁআশ মাটিতেও গমের চাষ করা চলে৷

কৃষি অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন

No Images

কৃষি অভিজ্ঞতা

No Images
ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের

ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরvক্ষ... বিস্তারিত..

গম ফসলের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের আক্রমন ও দমন।

এটি পাইরিকুলারিয়া অরাইজি প্যাথোটাইপ ট্রিটিকাম নামক ছত্রাক দ্বারা বিস্তার লাভ করে (গম গবেষণা কেন্দ্র,ব... বিস্তারিত..

আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছটি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।