কৃষিতে ব্যবহৃত আধুনিক উপকরণসমূহ

39 Views

  • Uploaded on Sept. 28, 2023, 5:54 p.m. by Josef Mia

  • কৃষিকাজে ব্যবহৃত আধুনিক উপকরণসমূহ

    কৃষিকাজে ব্যবহৃত প্রধান ছয়টি আধুনিক উপকরণ হল一 [1] জলসেচ, [2] উচ্চফলনশীল বীজ, [3] রাসায়নিক সার, [4] জৈব সার, [5] কীটনাশক ওষুধ ও [6] আধুনিক যন্ত্রপাতি।

    [1] জলসেচ : আধুনিক যুগে কৃষিকাজে জলসেচ অপরিহার্য। কৃষিতে যে যে কারণে জলসেচের প্রয়ােজন হয়, তা হল一

    • অপর্যাপ্ত ও অনিশ্চিত বৃষ্টিপাত যাতে কৃষিকাজের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে।

    • উচ্চ- ফলনশীল বীজ চাষের জন্য।

    • বহু-ফসলি শস্য চাষের জন্য।

    • মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা কম হওয়ার জন্য।

    • বিভিন্ন উদ্ভিদের জলের চাহিদা আলাদা য়ার জন্য ইত্যাদি।

    [2] উচ্চফলনশীল বীজ : চিরাচরিত বা নিম্নমানের বীজ ব্যবহারের ফলে উৎপাদনের পরিমাণ অনেক হ্রাস পায়। সেজন্য উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উচ্চফলনশীল বীজ ব্যবহার বিশেষ প্রয়ােজন। উচ্চফলনশীল বীজের একটি বিশেষ শারীরবৃত্তীয় গুণ বর্তমান, যার মাধ্যমে এটি মৃত্তিকার পুষ্টিসাধক বস্তুগুলি শােষণে সক্ষম। এই ধরনের বীজ থেকে উৎপাদিত গাছে পাতার পরিমাণ খুব বেশি হয়, এবং এই বীজ থেকে প্রচুর পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হয়। বীজ থেকে 1960 থেকে 1970-এর দশকের মধ্যে অধ্যাপক নরম্যান বােরলগ (Norman Borlaug) মেক্সিকোতে এক নতুন ধরনের উচ্চফলনশীল গম বীজ উদ্ভাবন করেন এর পরবর্তী পর্যায়ে ভারতীয় কৃষিতে উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার শুরু হয়।

    • ভারতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উচ্চফলনশীল বীজ : উচ্চফলনশীল গম বীজগুলি হল—কল্যাণসােনা, সােনারা 64, সােনালিকা ইত্যাদি। উচ্চফলনশীল ধান বীজগুলি হল—জয়া, পদ্মা, আই-আর-৪, যমুনা, আই-আর-20, 26 ইত্যাদি। এই ধরনের বীজগুলির উৎপাদন ক্ষমতা চিরাচরিত বীজগুলির উৎপাদন ক্ষমতা অপেক্ষা প্রায় 25 থেকে 100 শতাংশ বেশি।

    [3] রাসায়নিক সার : রাসায়নিক সার আধুনিক কৃষির অন্যতম উপকরণ। নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি হল উল্লেখযােগ্য রাসায়নিক সার। রাসায়নিক সারের ব্যবহারের মাধ্যমে মাটিতে থাকা পুষ্টিসাধক বস্তুগুলির বৃদ্ধি ঘটানাে হয়। যার ফলে কৃষিজ উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যায়।

    • ভারতের কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার : স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ক্রমশ বেড়েছে। 1952-53 খ্রিস্টাব্দে ভারতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার যেখানে ছিল মাত্র 66 হাজার টন, সেখানে 2011-12 খ্রিস্টাব্দে তা বেড়ে দাঁড়ায় 275.67 লক্ষ টন। হেক্টর প্রতি সারের ব্যবহারও ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 1974-75 খ্রিস্টাব্দে হেক্টর প্রতি সারের ব্যবহার ছিল মাত্র 17 কেজি, 2009-10 খ্রিস্টাব্দে তা বেড়ে দাঁড়ায় 178.3 কেজি।

কৃষি অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন

No Images

কৃষি অভিজ্ঞতা

No Images
ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের

ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরvক্ষ... বিস্তারিত..

গম ফসলের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের আক্রমন ও দমন।

এটি পাইরিকুলারিয়া অরাইজি প্যাথোটাইপ ট্রিটিকাম নামক ছত্রাক দ্বারা বিস্তার লাভ করে (গম গবেষণা কেন্দ্র,ব... বিস্তারিত..

আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছটি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।