অনলাইন কৃষি বিষয়ক সমস্যার সমাধান

প্রশ্ন: আলুর ভাইরাস জনিত রোগ

সমস্যা:
  • পাতায় বিভিন্ন ধরনের ছিটে দাগ পড়ে, পাতা বিকৃত ও ছোট হয়।
  • আলুর জাতের উপর নির্ভর করে লক্ষন ভিন্নতর হয়।
  • লতা ঝুলে পড়ে এবং পরবর্তীতে গাছ মারা যায়।
  • এই সমস্ত ভাইরাস এককভাবে অথবা যৌথভাবে আলু গাছ আক্রমণ করে।
  • সাধারণভাবে ভাইরাস আক্রান্ত আলু গাছ আকারে ছোট, পাতা কোঁকড়ানো, হলুদ অথবা মোজাইকের রং হয় এবং খসখসে হয় যা সহজেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ করলে কৃষক সুস্থ গাছ থেকে ভাইরাস আক্রান্ত আলু গাছ আলাদা করতে পারবে।
  • ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হলে আলুর আকার ছোট হয় এবং আলুর উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।

প্রশ্নকারীর নাম ও ঠিকানা : মধুপুর, টাঙ্গাইল


সমাধান:-
  • সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা।
  • রোগমুাক্ত গাছ আলু সহ রোগিং করা।
  • ভাইরাসের বাহক পোকা (জাব) দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • ভাইরাস মুক্ত প্রত্যায়িত বীজ আলু ব্যবহার করা।
  • আগাম জাতের আলু চাষ যা নভেম্বরের ২৫ তারিখের (১১ কার্তিক) মধ্যে করা এবং আগাম সংগ্রহ করা।
  • জমি আগাছা মুক্ত করা।
  • জমির আশে পাশের বিকল্প পোষক গাছ যেমন-টমেটো, তামাক, মরিচ, ধুতরা, বথুয়া, ফোসকা বেগুন ইত্যাদি থাকলে তা পরিষ্কার করা।
  • সারিতে ভালভাবে মাটি উঁচু করে দেয়া।
  • আলু গজানোর সাথে সাথে (২০-২৫ দিন বয়স হতে) নিয়মিতভাবে ভাইরাস আক্রান্ত গাছ রোগিং অর্থাৎ আলু সহ তুলে মাটির নীচে পুঁতে ফেলা।
  • জাব পোকা দমনে ইমডাক্লোরোপি গোত্রের কীটনাশক যেমন-এডমায়ার (১ মিলি/লিটার পানিতে) অথবা ম্যালাথিয়ন (২ মিলি/লিটার পানিতে) ১০-১৫ দিন পর পর জমিতে নিয়মিত ভাবে স্প্রে করা।
  • গাছের বয়স ৮০ দিন হলে আলু গাছ শিকড়সহ তুলে ফেলা এবং এরপর কমপক্ষে ৮-১০ দিন আলু জমিতে মাটির নীচে রেখে দেয়া।

কৃষি অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন

No Images

কৃষি অভিজ্ঞতা

No Images
ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের

ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরvক্ষ... বিস্তারিত..

গম ফসলের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের আক্রমন ও দমন।

এটি পাইরিকুলারিয়া অরাইজি প্যাথোটাইপ ট্রিটিকাম নামক ছত্রাক দ্বারা বিস্তার লাভ করে (গম গবেষণা কেন্দ্র,ব... বিস্তারিত..

আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছটি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।