অনলাইন কৃষি বিষয়ক সমস্যার সমাধান

প্রশ্ন: আমার গাছের কাঠাল পচে যাই কেন?

সমস্যা:

আমি আমার বাড়ীর পাশে কিছু সংখ্যক কাঠালের চারা রুপন করি গত ৩-৪ বছর আগে।বিগত কয়েক বছর ধরে প্রায় সব গাছেই কাঠাল আসছে। কিন্তু আমার একটি গাছের কাঠাল পচে ঝরে যায়।পচার ধরন -বাইরে থেকে বুঝা যায় না , যখন কাঠাল পরিপক্ক হয় বা খাওয়ার উপযোগি হই তখন গাছ থেকে পেড়ে নিই।বড়ই দুঃখের বিষয় এই যে পাকার জন্য রেখে দিলে পরে দেখা যাই মুলি(মুল দন্ড যার চার পাশে কোষ থাকে) পচে যায় ও কাঠালে দুর্ঘ্নদ সৃস্টি হয় ফলে খাওার উপযোগি থাকেনা।ভেবে ছিলাম আমাদের পাকানোর কোন ভুল তাই পরবর্তি বছর মানে এই মৌসোম এ কাঠাল গাছে পাকানোর সিদ্ধান্ত নিই ।কিন্তুযখন দেখতে পেলাম কাঠাল গাছেই পূর্বে বর্ণিত অবস্থায় পচে যাচ্ছে তখন খুভই মর্মাহত হলাম।আমি এর সঠিক সমাধান চাই। ধন্যবাদ

প্রশ্নকারীর নাম ও ঠিকানা : this is test


সমাধান:-

রোগ হওয়ার পূর্বে করণীয়: 
১। বিগত বছরের কাঁঠাল সংগ্রহ করার পর ফলের বোঁটা গাছের সাথে মিলিয়ে কেটে ফেলা
২। গাছে মুচি আসার আগেই মরা ডাল, পাতা ইত্যাদি পরিষ্কার করা
৩। মুচি আসা শুরু করলেই বোর্দো মিক্সার প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলি অথবা ইন্ডোফিল এম ৪৫ দুই গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা
৪। মুচি থেকে কচি কাঁঠাল টিকে গেলেই প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলি বোর্দো মিক্সার বা ০২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ হারে মিশিয়ে স্প্রে করা
৫। অতিরিক্ত ঘন স্থান থেকে কাঁঠাল ছাটাই করে ফেলে দেয়া
৬। কাঁঠাল টিকে যাওয়ার এক মাস পর থেকে ১৫ দিন ব্যবধানে ০২ বার প্রতি লিটার পানিতে ফলি-কুর ০.৫ মিলি অথবা রিডেমিল গোল্ড ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার আগে পচা ফল বা মুচি, মরা ডাল বা পাতা ইত্যাদি পরিষ্কার করা
 ৭। রৌদ্রজ্জ্বল দিনে ফল সংগ্রহ করা
৮। আলো বাতাস পায় এরকম স্থানে কাঁঠাল পাকানোর জন্য রাখা
উত্তর দিয়েছেন
কৃষিবিদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হোসাইন সিদ্দিকী
সিনিয়র সহকারি পরিচালক,
NATA, গাজীপুর।

কৃষি অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন

No Images

কৃষি অভিজ্ঞতা

No Images
ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের

ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগেরvক্ষ... বিস্তারিত..

গম ফসলের ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগের আক্রমন ও দমন।

এটি পাইরিকুলারিয়া অরাইজি প্যাথোটাইপ ট্রিটিকাম নামক ছত্রাক দ্বারা বিস্তার লাভ করে (গম গবেষণা কেন্দ্র,ব... বিস্তারিত..

আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছটি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।